নিজস্ব প্রতিবেদক:
চোখে মরিচের গুঁড়ো মেরে সাড়ে ১৪ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় হাটহাজারী সার্কেল এবং ওসির নিদর্শনায় টানা অভিযানে সাড়ে ৪ লাখ টাকাসহ ৪ জনকে আটক করে পুলিশ।
গত শনিবার ও রবিবার নগরীর অলংকার মোড় রোজভিউ হোটেল থেকে ৩ জনকে আটক করা হয়। এরপুর্বে ঘটনার দিন স্থানীয় জনতা রঞ্জন কুমার নাথ নামে একজন কে ধরে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।
আটককৃতরা হলেন,
১। মাসুদ আলম প্রকাশ কাইট মাসুদ (২৫) পিতা শুক্কুর, ১নং দক্ষিণ পাহাড়তলী, ঠান্ডাছড়ি, হাটহাজারী।
২। রহিম বাদশা প্রকাশ কালা বাচা(২৩), পিতা মৃত সোনা মিয়া, ১নং দক্ষিণ পাহাড়তলী, মাঙ্গনীরপাড়, ঠান্ডাছড়ি, হাটহাজারী।
৩। মিরাজ মৃধা (২৩), পিতা মৃত শাহ আলম মৃধা,
১নং দক্ষিণ পাহাড়তলী, ঠান্ডাছড়ি, হাটহাজারী।
এবং
৪। রঞ্জন কুমার নাথ(২৮) পিতা মিলন নাথ, সাধুরপাড়া (মিলন নাথের বাড়ি) চান্দগাও, বর্তমান চৌধুরী হাট রুবেলের ভাড়া ঘর, হাটহাজারী।
হাটহাজারী মডেল থানার এসআই সুমন দেব নাথ এ প্রতিবেদক কে বলেন, চৌধুরীহাট এলাকায় চোখে মরিচের গুঁড়ো মেরে টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হওয়ার পরে সার্কেল এবং ওসি মহোদয়ের নির্দেশনায় প্রথমে চিকনদন্ডী ইউনিয়ন এলাকায় থেকে একজন কে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদে টাকা ছিনতাইয়ের কথা স্বীকারের পরে বাকীদের আটক করতে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার করে নগরীর অলংকার মোড় রোজভিউ হোটেল থেকে ৩ জনকে আটক করা হয়। এ সময় তাদের হেফাজতে থাকা ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। পরে আটককৃতদের গত রবিবার আদালতে প্রেরণ করা হয়।
হাটহাজারী মডেল থানার ওসি মনিরুজ্জামান বলেন, মরিচের গুঁড়ো মেরে টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় মাসুদ আলম প্রকাশ কাইট মাসুম একজন পেশাদার ছিনতাইকারী। তার বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের বিভিন্ন থানায় মামলা রয়েছে। আটককৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ৩০ নভেম্বর বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টার দিকে চট্টগ্রাম-রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি মহাসড়কের হাটহাজারী উপজেলার চিকনদন্ডী ইউনিয়নের ফতেয়াবাদ রেজিস্ট্রারী অফিসের সামনে চোখে মরিচের গুঁড়ো মেরে সাড়ে ১৪ লাখ টাকা ছিনতাই করে পালানোর সময় একজন কে হাতেনাতে আটক করে স্থানীয়রা।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ৪/৫ যুবক দৌড়াদৌড়ি করে সিএনজি গাড়িতে করে পালানোর সময় একজন কে কি সমস্যা জানতে চাইলে সে পুলিশ আসছে বলে পালানোর সময় আমরা তাকে আটক করি। এ সময় আরও ৩ যুবক সিএনজি গাড়িতে করে পালিয়ে যায়।
এনআরবিসি ব্যাংকেরও কর্মকর্তা মাইনুদ্দীন মাহমুদ জানান, আমি এবং একজন সিকিউরিটি গার্ডসহ স্কুটি চালিয়ে প্রতি দিনের মতো আজও টাকা সংগ্রহ করে ১৪ লাখ ৫৩ হাজার টাকা নিয়ে চৌধুরীহাট জনতা ব্যাংকের জমা করতে যাওয়ার সময় ৪/৫ জন যুবক মাস্ক পরে আমাদের চোখে মরিচের গুঁড়ো মেরে দিয়ে টাকার ব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় চিৎকার দিলে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে একজন কে আটক করে।